শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:০৭

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
লোপাট হওয়া ৪ কোটি টাকা পাচ্ছেন বরিশাল মুক্তিযোদ্ধারা

লোপাট হওয়া ৪ কোটি টাকা পাচ্ছেন বরিশাল মুক্তিযোদ্ধারা

dynamic-sidebar

লোপাট হয়ে যাওয়া প্রায় ৪ কোটি টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের ফেরত দেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এপ্রিলের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের এ টাকা হাতে পাওয়ার কথা। চার বছর ধরে এ টাকা ফেরত পেতে দৌড়ঝাঁপ ও চিঠি চালাচালির পর ৬ হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধা এই ভাতা ফেরত পেতে যাচ্ছেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সে সময় ভাতাবঞ্চিত এই মুক্তিযোদ্ধাদের জানিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাবদ এই টাকা মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় করেছে তারা। কিন্তু জেলা প্রশাসন দেয়নি। সমালোচনার মুখে এখন এসে কল্যাণ অনুদান থেকে এই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে ২০১৫ সালে বরাদ্দ দেওয়া সমপরিমাণ টাকা কোথায় গেল, তার কোনো হদিস মেলেনি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমার কাছে এ অভিযোগ আসার পর দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে ভাতা বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিই। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ দিলে সেই ভাতা কেন তাঁদের পরিশোধ করা হবে না, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছি। এখন বিষয়টির সুরাহা হয়েছে। তবে এই গলদ বা ভুল যারা করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ছাড়া বরিশাল জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা না দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন আদালত। কমিটির তদন্ত চলাকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ টাকা ছাড় করল।

গত চার বছর বরিশালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শেখ রিয়াদ মুহাম্মদ নূর কয়েক দফা তথ্য অধিকার আইনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় বরিশাল জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। সমাধান না পেয়ে শেখ রিয়াদ তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ আগস্ট ও ১০ অক্টোবর কমিশনে শুনানি হয়। কমিশন মন্ত্রণালয়কে সম্মানী ভাতা দিতে ব্যবস্থা নিতে বলে।

গত ৩১ মার্চ বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, ভাতা মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় করা হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত এ টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পৌঁছাবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বরিশাল জেলার মোট ভাতাভোগী ছিলেন ৬ হাজার ২৩২ জন। ২০১৫ সালের এপ্রিলে আরও ২২৪ জন যুক্ত হয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪৫৬। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের জন্য প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার নামে ব্যাংক হিসাবে ১৫ হাজার টাকা করে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু জমা হয় ১০ হাজার টাকা করে। আর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত জমা হয় ১৫ হাজার টাকা করে। তাহলে তাঁদের এক মাসের (মার্চ) ভাতা কোথায় গেল, সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা।

বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা এনায়েতুর রহমান, ধীরেন চন্দ্র বিশ্বাস, আমীর আলী, আনোয়ার হোসেন জানান, তাঁরা চার বছর ধরে যে কষ্ট করেছেন, তাতে কোনো কাজ হয়নি। তবে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পর এবং আদালতে তা নিয়ে রিট হওয়ার পরই তাঁরা ভাতা ফেরত পেতে যাচ্ছেন।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net